জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয় তাকে। এদিন ডিবির সাদা মাইক্রো গাড়িতে আনা হয় তাকে। এ সময় গাড়ির সামনে ও পেছনে পুলিশের গাড়িতে কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা যায়। খায়রুল হককে আদালতে আনার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ‘খায়রুলের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এরপর গাড়ি হাজতখানায় ভিতরে প্রবেশ করে।
রাত পৌনে ৮টার দিকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে আদালতে হাজির করে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক মো. খালেদ হাসান। পরে শুনানি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ধানমণ্ডির বাসা থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকায় আব্দুল কাইয়ুম আহাদের ওপরে হত্যার উদ্দেশে গুলি বর্ষণ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত, টিআরসেল, সাউন্ড বোমসহ নানা ধরনের অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়। এতে আব্দুল কাইয়ুম আহাদের মুখে ও বুকে গুলি হয়। সেখানে যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হোসেন আব্দুল কাইয়ুমের দুই পায়ে ব্রাশ ফায়ার করেন। ভিকটিম আহাদকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত ৬ জুলাই নিহতের বাবা মো. আলা উদ্দিন বাদি হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনকে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত এক থেকে দুই হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। এ মামলার এজাহারনামীয় ৪৪ নং আসামি হলেন এবিএম খায়রুল হক।
এর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ধানমণ্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খুলনা গেজেট/এসএস